গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদের বিক্ষোভ এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানানোর খবর ঢেউ তুলেছে। এটি সবই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছিল, তবে একই ধরনের প্রতিবাদ এখন ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ায় ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। গত শনিবার, শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়েছিল। এই বিক্ষোভের কারণে স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করতে হয়েছিল। কিছু ক্ষেত্রে, ছাত্ররা তাদের দাবি শোনানোর জন্য পুরো বিল্ডিং দখল করে নিয়েছে।
এই বিক্ষোভগুলি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই শুধু ঘটছে না। বিক্ষোভ ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, এই অঞ্চলের স্কুল ও কলেজ গুলিও এখন গাজার সাথে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ করছে।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে, যেখানে গত সপ্তাহে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, সেখানে সশস্ত্র পুলিশ গিয়ে অনেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে। নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটিতে, শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্যাম্প করে থাকছে, এবং বর্ণবাদের বিরুদ্ধে জাতির উদ্দেশে কঠোর কথা বলছে । বার্লিনে যুদ্ধবিরোধী কর্মীরা সংসদ ভবনের বাইরে ক্যাম্প স্থাপন করে।
প্যারিসে, সায়েন্সেস পো ইউনিভার্সিটিতে, মূল ভবনের বাইরে বিক্ষোভের ফলে ক্লাস অনলাইনে পরিবর্তন হয়। একইভাবে, সুইডেনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে লোকেরা “ফ্রি প্যালেস্টাইন” এবং “ইসরায়েল বয়কট করুন” স্লোগান দেয়। এমনকি সেন্ট্রাল লন্ডনেও শত শত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন জানাতে জড়ো হয়েছে সেখানকার জনগণেরা।