দুর্ঘটনার কবলে পড়া বিমানটির যাত্রীরা যা বললো

Share This Post:

তীব্র ঝড়ের কবলে পরে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক যাত্রীর মৃত্যু ঘটে এবং আরো ৩১ জন যাত্রী আহত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিমানে যা ঘটেছিল তা নিয়ে একটি প্রতিবেদন করে এবং প্লেনের ভিতরে থাকা যাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেয়।

সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড়োজাহাজটি সিঙ্গাপুরের দিকে যাচ্ছিল।

কিন্তু উড্ডয়নের সময় ঝড়ের প্রবল বাতাসে পড়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে, যার ফলে বিমানের ভিতরে তীব্রভাবে ঝাঁকুনি হতে থাকে।

‘FlightRadar24’ নামের ওয়েবসাইট যারা ফ্লাইটগুলি ট্র্যাক করে তাদের অনুসারে, বিমানটি আন্দামান সাগরের উপর দিয়ে উড়েছিল এবং হিথ্রো বিমানবন্দর ছাড়ার প্রায় ১১ ঘন্টা পরে থাই আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল।

থাই আকাশসীমায় থাকাকালীন, বিমানটি মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৩৭,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে ৩১,০০০ ফুটে নেমে আসে।

রয়টার্সকে একজন যাত্রী বলেছেন যে, “যাদের সিটবেল্ট লাগানো ছিল না কেবিনের সিলিংয়ে তাদের মাথায় আঘাত করেছে।” 

আজমির নামের আরেকজন ২৮ বছর বয়সী ছাত্র, রয়টার্সকে বলেছেন যে, ঝাঁকুনির সময় অনেক যাত্রী উপরে উঠে যায় যার ফলে মাথায় আঘাত লাগে। তবে কিছু লোক যাদের সিটবেল্ট ছিল না তারা নিচে পড়ে যায়।

সিঙ্গাপুরের স্থানীয় নিউজ চ্যানেল ‘নিউজ এশিয়া’ জানিয়েছে যে, বিমানটিতে কী ঘটেছে সে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য সামনে আসছে।

তবে, বিমানের ভিতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে এয়ারলাইন কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।

২০২১ সালে ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বিমান দুর্ঘটনার সবচেয়ে সাধারণ হলো তীব্র ঝাঁকুনি।

২০০৯ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, সংস্থাটি বের করেছে যে বিমান দুর্ঘটনার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি শক্তিশালী টার্বুলেন্সের সাথে যুক্ত ছিল।

তবে এই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, যাত্রীরা গুরুতর আহত হলেও, বিমানের কোনো ক্ষতি হয়নি।

SMASHCON
SMASHCON

"Either write something worth reading or do something worth writing."
- by Benjamin Franklin.😎