গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের কারণে আরও ৮২ জন ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছে এবং প্রায় ৪,৫০,০০০ মানুষকে রাফা ছেড়ে চলে গিয়েছে। খবরটি নিশ্চিত করেছে আল জাজিরা।
মাত্র একদিনে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৮২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। যা অনেক সপ্তাহ পর একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর সংখ্যা।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম এ খবর জানায়।ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ‘রাফাহ’ শহর আক্রমণের পর থেকে এই বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
গত বছরের ৭ই অক্টোবর গাজার সরকার ‘হামাস’ ইসরায়েলের ওপর বড় ধরনের হামলা চালায়। এর জবাবে ইসরাইল গাজায় বোমাবর্ষণ ও সেনা পাঠাতে শুরু করে।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৫,০০০ ফিলিস্তিনি মারা গিয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আহত হয়েছে ৭৯,০০০ এরও বেশি। জাতিসংঘসহ অনেক দেশ এই সহিংসতা বন্ধ করতে বললেও তা মানতে নারাজ ইসরাইল।
এদিকে জাতিসংঘ বলছে, গাজায় দ্রুত ত্রাণ সহযোগিতা পাঠানো প্রয়োজন ,খুব দ্রুত এই ত্রাণ না পৌঁছাতে পারলে গাজার প্রায় ২.২ মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার্ত হয়ে যাবে এমন কি মারা ও যেতে পারে।
জাতিসংঘ আরো বলছে, যদি এই ত্রাণের অভাবে প্রাণহানি ঘটে তবে গোটা বিশ্বকে এর দায় নিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফাতে বড় ধরনের হামলা শুরু করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দেবে।
জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন যে, গাজায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা করণীয় ইসরাইল সরকার তাই করবে, ইসরাইল এর নিরাপত্তার প্রশ্নে কেউ বাধা দিতে পারবে না, এমনকি অন্য দেশের চাপের মুখোমুখি হলেও ইসরাইল তা মানবে না ।
এদিকে, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা রাফাহ ক্রসিং দিয়ে গাজার প্রবেশমুখ বন্ধ করে দিচ্ছে যাতে রাফায় ত্রাণ সুবিধা না পৌঁছে।