জাতিসংঘ ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদকে সমর্থন করে একটি প্রস্তাব পাস করলে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ের নিন্দা জানান ও খেপে যান তিনি। ইয়াহু নিউজ থেকে পাওয়া খবরে জানা যায়, ভোটের পরে, তিনি সাধারণ পরিষদের সময় সবার সামনে জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেলে দেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশ ফিলিস্তিনকে নতুন সদস্য হওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ নয়টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। পঁচিশটি দেশ ভোট না দেওয়ার এবং নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আজকের দিনটিকে অন্যতম কালো দিন হিসেবে স্মরণ করা হবে। আমি চাই সবাই জাতিসংঘে এই অন্যায় কাজটি মনে রাখুক। আমি আপনাদের একটি প্রতিফলন দেখাতে চাই।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন যে জাতিসংঘ কতটা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কথা বলে এবং যুক্তি প্রদান করে, তা আজকে সম্পূর্ণ প্রমান হয়ে গেলো। তিনি এমন একটি দেশকে সমর্থন করার সমালোচনা করেন যারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এবং সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়। এরদান জাতিসংঘকে বলে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে যে সনদ সেটা আজ আপনারাই ছিডে ফেললেন। এরদান শুধু একটা প্রতিফলন দেখালো এই সনদ ছিড়ে।
গিলাদ এরদান আরও বলেন, ‘যে দেশের কোনও অস্তিত্ব নেই আপনারা তাদের পক্ষে ভোট দিলেন। আমি স্পষ্টভাবে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। আগামী দিনে ফিলিস্তিন হামাস জঙ্গিদের রাষ্ট্র হয়ে উঠবে। আর খুব শীঘ্রই হামাসের মাথা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে অর্থ প্রদান করবে এই জাতিসংঘই।’
ভোটের মাধ্যমে যদি ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য এখনো হতে পারেনি, তবুও তারা কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে। উদাহরণস্বরূপ, এই বছরের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে, তাদের অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি সাধারণ পরিষদে আসন থাকবে। তবে, তাদের প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।