জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে। এর মানে জাতিসংঘে অন্যান্য দেশের মতো ফিলিস্তিনেরও একই মর্যাদা থাকবে দেশ হিসাবে। জোরালো সমর্থনে প্রস্তাব পাস হয়।
এখন, নিরাপত্তা পরিষদকে এই ভোট নিয়ে আবার ভাবতে বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই গুরুত্বপূর্ণ খবর জানিয়েছে।
১৯৩টি জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেশের মধ্যে ১৪৩টি দেশ রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি দেশ এর বিপক্ষে ছিল। এছাড়াও, ২৫টি দেশ ভোট না দেওয়ার অর্থাৎ নিরপেক্ষ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে একটা কথা মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রস্তাবটি অনুমোদিত হলেও, ফিলিস্তিন এখনই পূর্ণ সদস্য হতে পারবে না। তবে, ফিলিস্তিন স্বীকৃতি পেলে সাধারণ পরিষদ থেকে এখনও কিছু সুবিধা পাবে।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এই সিদ্ধান্তে খুশি। তিনি জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্তকে এবং ১৪৩ দেশের দেয়া হ্যা ভোটকে পুরো বিশ্বের ফিলিস্তিনকে সমর্থন করার লক্ষণ হিসেবে দেখছেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তারা বিশ্বাস করে যে ফিলিস্তিন সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এমন একটি দেশকে স্বাগত জানানোর মতো তাদের কোনো ইচ্ছে নেই। যুক্তরাষ্ট্রও ভোটের সমালোচনা করে বলেছে, এই ভোট পক্ষপাতদুষ্ট।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, তীব্র হামলার কারণে অনেক মানুষ রাফাহ থেকে পালিয়ে গেছে। এছাড়াও, ইসরায়েলি হামলার কারণে গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা দুঃখজনকভাবে ৩৮ হাজার ৯৪৩ জনে এসে দাঁড়িয়েছে।
ফিলিস্তিনের সদস্যপদ নিয়ে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই ইস্যুতে বিশ্বের অবস্থান দেখা যায় ফিলিস্তিনের প্রতি। যাইহোক, এই সিদ্ধান্ত কিছু দেশ থেকে উদ্বেগ এবং সমালোচনাও নিয়ে আসে।
গাজার পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক, অনেকে প্রাণ হারিয়েছে এবং মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাই জাতিসংঘের এই সিন্ধান্ত কে অনেকে আশার আলো হিসাবে দেখছেন।