নিউইয়র্ক সিটির পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হল থেকে বিক্ষোভকারীদের বের করে দেয়া হয়।পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুরো দিনের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনকে সমর্থনকারী বিক্ষোভকারীরা ভবনের ভেতরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করে। গতকাল স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় সেখানে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। তারপর পুলিশ হ্যামিল্টন হলে ঢুকে পরে।
ক্যাম্পাস সংবাদপত্র, কলম্বিয়া স্পেক্টেটর জানিয়েছে, পুলিশ হ্যামিল্টন হলে অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশকে বাধা দিতে অনেকেই গেটের সামনে অবস্থান নেন।
তবে কতজনকে আটক করেছে পুলিশ তা জানায়নি। আমেরিকান নিউজ নেটওয়ার্ক এনবিসি, জানিয়েছে যে গতকাল হ্যামিল্টন হল থেকে কয়েকশ বিক্ষোভকারীকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে কয়েক সপ্তাহ আগে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসের বাহিরে শিক্ষার্থীরা তাবু খাঁটিয়ে সেখানে অবস্থান করছে।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের তাদের তাঁবু সরিয়ে নিতে এবং সোমবারের মধ্যে বিক্ষোভ শেষ করতে বলেছে। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তা উপেক্ষা করে। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিতে চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বেন চ্যাং, যিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, গতকাল বলেছেন যে কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস নিরাপদ কিনা তা নিশ্চিত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অস্থায়ীভাবে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
এরপর বিক্ষোভকারীরা হ্যামিল্টন হল দখল করে নেয়। তারা ভবনের গায়ে ‘হিন্ডস হল’ লেখা একটি ব্যানার টাঙিয়ে দেন। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেছে যে তারা ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মারা যাওয়া ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবকে সম্মান জানাতে এটি করেছে।