আর একটু ঘাম ঝরাতে প্রস্তুত হোন! আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান দিয়েছে যে তাপপ্রবাহ শীঘ্রই চলে যাচ্ছে না। তারা তাপপ্রবাহের সতর্কতা আরও তিন দিনের জন্য বাড়িয়েছে, মানে আমরা রবিবার থেকে শুরু করে আরও ৭২ ঘন্টা গরম, ও জলীয় বাস্পে ভরা আবহাওয়ার শিকার হতে যাচ্ছি।
আজ সকালে আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বর্ধিত সতর্কতা সম্পর্কে আমাদের জানান। এই তাপপ্রবাহটি ১লা এপ্রিল থেকে চলছে এবং এটি এখনও আমাদেরকে শান্তি দিচ্ছে না৷
আপনি যদি চট্টগ্রাম বা সিলেট বিভাগে থাকেন, তাহলে আজ সকাল ৯টা থেকে আগামীকাল (সোমবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত কিছু প্রবল বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সাথে কিছু কিছু এলাকায় বজ্রঝড় এমনকি শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। তাই, পারলে ঘরে থাকুন এবং নিরাপদ থাকুন!
শনিবার চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল যা দেশের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ। চুয়াডাঙ্গায় আজ আরও গরম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে! কিন্তু এখানেই শেষ নয়. রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাতেও তীব্র তাপপ্রবাহ হতে পারে। যখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী এবং ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে আঘাত হানে, তখন এটি একটি চরম তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়।
এদিকে, রাজশাহী, খুলনা বিভাগের কিছু অংশ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী এবং বান্দরবানের মতো জেলাগুলিতে তীব্র গরম নাও পড়তে পারে। এখানে, তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে, যা একটি মাঝারি তাপপ্রবাহ। এবং যদি এটি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হয় তবে এটি একটি হালকা তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান কিছুটা স্বস্তির কথা জানিয়ে বলেন, যেখানেই বৃষ্টি হবে, তাপপ্রবাহ কমবে। সিলেটবাসীর জন্য সুখবর—এখানে কোনো তাপপ্রবাহ নেই, এবং চট্টগ্রামও তাপপ্রবাহের ভয়াবহতা থেকে নিরাপদ। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই এলাকায় বৃষ্টির জন্য নজর রাখুন। ঢাকাসহ অন্যান্য অঞ্চলে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আপাতত কম। আর শরীর যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন।