রাজ্যের আপিল পর্যালোচনা করবে আদালত
সরকারি চাকরিতে (৯ থেকে ১৩ গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আজ বুধবার।
বিচারকের আদেশ
আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আপিল বিভাগের বিশেষ চেম্বার আদালতের বিচারক আশফাকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
চেম্বার জজ আদালতের অধিবেশন
এ মামলার শুনানির তারিখ ঠিক করতেই সকাল সাড়ে ১১টায় চেম্বার জজ আদালতের সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আবেদনকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক।
পূর্ববর্তী স্থগিত
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ চেম্বার আদালত এ বিষয়ে শুনানি স্থগিত করেন।
ওই দিন বৃহস্পতিবার আবেদনকারীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ‘আজ নয়’ উল্লেখ করে মুলতবি আদেশ জারি করেন।
কোটা রায়ের প্রেক্ষাপট
কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ বছর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ে এসব সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ফিরে পায়।
রাজ্যের প্রতিক্রিয়া
হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপক্ষ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে। তবে গত ৯ জুন প্রাথমিক শুনানি শেষে আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়।
কোটা সিস্টেমের বিশদ বিবরণ
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে কোটা প্রথা বিলুপ্তির আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত ছিল। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, জেলার জন্য ১০ শতাংশ, সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ।