ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আজিমকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং এর সাথে জড়িতরা কি ঘটেছে তার বিবরণ দিয়েছে। ‘কসাই জিহাদ’ নামেও পরিচিত জিহাদ হাওলাদারকে কলকাতায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং স্বীকার করে যে তারা নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেনের একটি বাথরুমে আজিমের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল। বাথরুমে নিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় এক ঘণ্টা লাশ মেঝেতে ফেলে রেখেছিল তারা।সোমবার তদন্ত সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে আজিম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আখতারুজ্জামান শাহীন ও হত্যাকারী দলের সদস্য সিয়ামকে ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। শাহীন ২০শে মে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথমে দিল্লি, তারপর নেপাল, এরপরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবং শেষে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়।
শাহীন বাংলাদেশের নাগরিকত্বের পাশাপাশি মার্কিন নাগরিকত্বও রয়েছে, তাই ইন্টারপোলের মার্কিন অফিসে একটি অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। অপরাধের পর সিয়াম ভারত থেকে নেপালে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে এবং তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের নেপাল শাখাকে সতর্ক করা হয়েছে।
ইন্টারপোলের বাংলাদেশ ডেস্ক (এনসিবি) এর এআইজি আলী হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘দুই পলাতক আসামির বিষয়ে জানতে পেরে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করি।’
সূত্র জানায়, জিহাদ হাওলাদার নামে এক আসামি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, হত্যার পর আজিমের মাথা কেটে শরীর থেকে আলাদা করার দায়িত্ব ছিল তার। এর পর মাথাকে টুকরো টুকরো করা হয়। শরীর থেকে চামড়া আলাদা করা পর মাংস এবং হাড়ও আলাদা করা হয়। লাশ গায়েব করার দায়িত্ব ছিল ফয়সালের ওপর।
এর আগে কলকাতা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে ঢাকায় আটক তিন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। তারা আজিমকে অ্যাপার্টমেন্টে নিয়ে যাওয়ার পর কী ঘটেছিল তার বিশদ বিবরণ দিয়েছে। তাদের বক্তব্য জিহাদের তথ্যের সঙ্গে মিলে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।