ঢাকার পুলিশ সুপার মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ, জিহাদ হাওলাদারের সাথে কথপোকথন করেছিলেন, যে কসাই জিহাদ নামেও পরিচিত।
কসাই জিহাদ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার ঘটনায় কলকাতায় গ্রেপ্তার হয়েছিল।
রবিবার কলকাতায় সিআইডি-র প্রধান কার্যালয় ভবানী-ভবনে তিন ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ হয় জিহাদের সঙ্গে। সিআইডির শীর্ষ কর্মকর্তারাও ছিল সেখানে। জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু চানকলকোর তথ্য বেরিয়ে এসেছে বলে অসস্ত করলো ডিবি সূত্র।
এর আগে নিউটাউন থানায় মামলার তদন্তকারীর সঙ্গে হারুন অর রশিদের কথা হয়। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে হারুন নিউটাউনের সাঞ্জিভা গার্ডেনের ফ্ল্যাট ৫৬বি তে চলে যান। সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা সময় কাটান সম্ভাব্য খুনের জায়গা ও আলামত দেখার জন্য।
ডিসি হারুনুর রশিদ আরো দুই জন অতিরিক্ত গোয়েন্দা পুলিশকে সঙ্গে করে নিয়ে স্থানীয় সময় সাড়ে ১০ টার দিকে ফ্লাইটে করে কলকাতা উড়ে আসেন।
মোট তিন জনের একটি দোল নিয়ে ডিসি হারুন ঢাকা মেট্রোপলিটনের গোয়েন্দা পুলিশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমার গোয়েন্দা জীবনে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড দেখিনি। শুধু তাই নয়, সংসদ সদস্য আনারের মরদেহই মামলাটির অন্যতম প্রমাণ । আর সেটাই খুঁজে বের করা এখন আমার প্রধান লক্ষ্য।”
হারুন সোমবার সকালে সাঞ্জিভা গার্ডেনে আরেকবার যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তিনি বাগজোলা খালের পাশের জায়গাগুলো পরীক্ষা করবেন যেখানে কসাই জিহাদ বলেছে যে সে আনারের শরীরের অংশগুলো সেখানে ফেলে দিয়েছে।
কথাটা হলো, কসাই জিহাদ জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিছু চানকলকোর তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। জিহাদ ও ফয়সাল দুইজন আলাদাভাবে আনারকে দুই টুকরো করে কেটে ফেলে।
ফয়সাল আনারের মাথা ও হাড় ছুঁড়ে নিয়ে যায় ফেলার জন্য, আর ঐদিকে জিহাদ দেহের বাকি অংশ বাগজোলা খালে ফেলে।
গোয়েন্দা বিভাগের সূত্র জানায় যে, এমপি আনারের মাথার চামড়া উঠিয়ে ফেলা হয়েছিল, এবং হাড়গুলি কেটে গুঁড়ো গুঁড়ো করা হয়েছিল।
১২ই মে এমপি আনার কলকাতায় তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। পরের দিন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন এমপি আনার।
২২ই মে কলকাতার গোয়েন্দারা আনার হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কিন্তু প্রায় ১২ দিন পরেও ভারতীয় পুলিশ তার লাশ খুঁজে পায়নি।