কিরগিজস্তানে শতাধিক আতঙ্কিত বাংলাদেশি ছাত্র ও অন্যান্য নাগরিকদের সাহায্য করতে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে বিশকেকে পাঠানো হচ্ছে।
সম্প্রতি কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিদেশিদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় লোকজন। তবে শনিবার রাত থেকে রাজধানীর বিশকেকের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, “আমি কিরগিজস্তান সরকারকে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।
কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত হওয়ার খবর নেই। আমি উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে কিরগিজস্তানে যেতে বলেছি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করার জন্য।”
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ বিকেলে জানান যে, “আমি দ্রুত কিরগিজস্তানে যাওয়ার চেষ্টা করছি এবং তাদের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করব। শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং তারা বলেছে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।”
চার্টার ফ্লাইটে শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, “কিছু শিক্ষার্থী এ বিষয়ে আগ্রহী। আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
কিরগিজস্তানে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানে বাংলাদেশী দূতাবাস কিরগিজস্তানের বিষয়গুলো পরিচালনা করে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ মে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সঙ্গে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন মিশরীয় ছাত্রের হাতাহাতি হয়। এরপর ১৬ মে রাতে বিশকেকে স্থানীয় লোকজন বিদেশিদের ওপর হামলা শুরু করে।
বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয় ছাত্রদের ওপর হামলা হয়। বিদেশীদের মারধর করা হয় এবং তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। এমনকি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলেও ঢুকে পড়ে হামলাকারীরা। নারী ছাত্রীদেরও উপর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।