আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা শীতল হতে পারে দেশের তাপমাত্রা। বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে তথ্য জানিয়েছে, আগামী ৫ মে সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে, যা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে।
গত ১ মাস ধরে দেশের তাপমাত্রা অনেক বেশি । গতকাল, যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল ।যা গত ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শেষবার ১৯৮৯ সালে বগুড়ায় তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।
কিন্তু আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামীকাল থেকে তাপমাত্রা কমা শুরু হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক বলেন, আজ সারাদেশে কিছু জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ।
আবহাওয়া অধিদফতর গতকাল পূর্বাভাসে জানিয়েছে, আগামী ৪ থেকে ৫ মে সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক আরও বলেন, ৫ মে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, যা তাপমাত্রাকে কিছুটা কমাতে পারে।
গতকাল সবচেয়ে বেশি বৃষ্টির রেকর্ড হয়েছে সিলেটে, যা ৫৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়াবিদরা মনে করেন যে শুধু কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টি হলে তাপপ্রবাহ কমবে না সারা দেশে।
তাপমাত্রার পরিবর্তন আনতে আমাদের সারা দেশে বৃষ্টি হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে ।
তাপমাত্রা কত হলে বুঝবেন আবহাওয়ার পরিস্থিতি কেমন ?
৩৬ থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তা মৃদু তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত হয়, ৩৮ থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাপপ্রবাহ মাঝারি হয়, ৪০ থেকে ৪১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাপপ্রবাহ তীব্র হয়, এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে যে কোনও কিছু চরম তাপপ্রবাহ হিসাবে বিবেচিত।
মে মাসে সাধারণত দেশে প্রচুর বজ্রপাত ও বৃষ্টি হয়, এবং জুন, সেপ্টেম্বর ও এপ্রিল মাসেও বৃষ্টি লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু এই বছর, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত, শুধুমাত্র একটি বজ্রঝড় হয়েছে, যা দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ঘটেছে। এটি বেশ অস্বাভাবিক কারণ, ১৯৮১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে এরকম কম বৃষ্টির তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই আবহাওয়াবিদ এবং জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা প্রকৃতির এই আচরণটিকে অস্বাভাবিক বলে মনে করেন।