মিয়ানমারের ২৮৮ জনকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে যাচ্ছে মিয়ানমার থেকে আগত একটি জাহাজ। মিয়ানমারে সংঘাতের কারণে এসব মানুষ বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছিল। সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে একই জাহাজে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের কারণে সেনাবাহিনী ও সীমান্তরক্ষী সদস্যসহ এর অনেক নাগরিককে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় কক্সবাজারের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে প্রত্যাবাসন কর্মসূচির আয়োজন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মিয়ানমার থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে “চিন দুইন” নামের মিয়ানমারের একটি জাহাজ। এখন এই জাহাজে করেই মিয়ানমারের নাগরিকদের নিয়ে দেশে ফিরে যাবে জাহাজটি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বিভিন্ন বৈঠকে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই বৈঠক গুলোর উদ্দেশ্য ছিল জনগণের নিজ নিজ দেশে নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা।
মিয়ানমারের ২৮৮ জন যারা বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তাদের মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উদ্যোগের অংশ হিসাবে দেখছেন অনেকেই।
এই বছর, সামরিক ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যসহ মিয়ানমার থেকে ৬০০ জনেরও বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে মানবিক কারণে আশ্রয় ও প্রত্যাবাসন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্তৃপক্ষ এই ব্যক্তিদের মানবিক সহায়তা দিয়ে সহযোগিতা করেছে এবং প্রত্যাবাসন ব্যবস্থা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সহজতর করা হয়েছে।